যুক্তরাজ্যে হুয়াওয়ের ফাইভজি ভাগ্য নির্ধারণ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাজ্যেও চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের পণ্য ও সেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব উঠেছিল। তখন সংসদীয় কমিটি সেটি বাতিল করে দিয়েছিল।
তবে দেশটিতে পূর্ণাঙ্গভাবে বাধা ছাড়াই হুয়াওয়ের তাদের ফাইভজি প্রযুক্তি বিস্তারে কাজ করতে পারবে কিনা সেটি চলতি বছরের শেষ নাগাদ জানা যাবে বলেছেন দেশটির কেবিনেট মিনিস্টার।
দেশটির ডিজিটাল সেক্রেটারি নিকি মরগান আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী শরতের মধ্যেই আমরা একটা সিদ্ধান্ত পাবো।
যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন তা দেশটির নিরাপত্তা এবং টেকসই একটা ফাইভজি নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্যই নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
গত জুনে দেশটিতে নেটওয়ার্ক বিস্তারে কাজ করা চীনা প্রতিষ্ঠানটি সতর্ক করে বলেছিল, ফাইভজি থেকে হুয়াওয়েকে বাদ দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
দেশটিতে সরকারী কোন টেলিযোগাযোগ কাজে হুযাওয়ে ফাইভজি বিস্তার করছে না বলে জানিয়ে মরগান বলেছেন, আমরা সব বিষয় বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবো। এতে কোন পক্ষেরই ক্ষতির সম্মুখীণ হতে হবে না বলে আশ্বাস্ত করেছেন।
গত প্রায় ১৮ বছর থেকে হুয়াওয়ে দেশটিতে টেলিকম সেবাদাতা হিসেবে কাজ করে আসছে। তারা টুজি, থ্রিজি, ফোরজি নেটওয়ার্ক বিস্তারেও যথেষ্ট অবদান রেখেছে বলে জানান তিনি।
এর আগে যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য ও সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি কমিটির চেয়ারম্যান নরমান লাম্ব এক চিঠিতে জানিয়েছিলেন, যুক্তরাজ্যে হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে না। যুক্তরাজ্যের ফাইভজি ও অন্যান্য টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক থেকে হুয়াওয়েকে বাইরে রাখার কোনো ভিত্তি খুঁজে পায়নি তার নেতৃত্বাধীন কমিটি।
তবে চিঠিতে এটাও জানানো হয়, নেটওয়ার্কের স্পর্শকাতর উপাদানগুলো হুয়াওয়ের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকবে। অর্থাৎ তারা বেশি গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হুয়াওয়েকে দিতে ইচ্ছুক নয়।