চলতি সপ্তাহেই রাইড শেয়ারিংয়ের লাইসেন্স।
দেশে রাইড শেয়ারিং সেবা চালু হওয়ার প্রায় তিন বছর পর চলতি সপ্তাহেই এর লাইসেন্স দিতে যাচ্ছে সরকার।বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্র জানিয়েছে, দুই এক দিনের মধ্যেই লাইসেন্সিং দিতে শুরু করবে তারা।
এদিকে রাইড শেয়ারিংয়ের লাইসেন্স দিতে গিয়ে একাধিকবার নীতিমালা প্রণয়ন এবং তাতে পবির্তন করতে হয়েছে বিআরটিএকে।সর্বশেষ একজন রাইডার কেবল একটি রাইড শেয়ারিং কোম্পানির নেটওয়ার্কেই থাকতে পারবে এমন বাধ্যবাধকতা থেকেও সরে এসেছে বিআরটিএ।তাছাড়া নতুন নীতিমলা অনুসারে, প্রতিটি রাইড শেয়ারিং কোম্পানি লাইসেন্স পাওয়ার পর তারাই তাদের নেওয়ার্কে থাকা রাইডার এবং তাদের বাহনের বৈধ লাইসেন্স এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ নিবন্ধন করবে।এতে করে রাইড শেয়ারিং নিরাপদ হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট অপরাধও বন্ধ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।এর আগের নীতিমালা অনুসারে ১৬টি কোম্পানি রাইড শেয়ারিং লাইসেন্স নিতে আবেদন করে। তবে কেউই তখন নীতিমালার সব শর্ত পূরণ করতে না পারায় লাইসেন্স পায়নি। তাতে নতুন করে নীতিমালা করায় লাইসেন্স পাওয়া অনেকটা সহজ হয়েছে।দেশে ২০১৬ সালের আগেই রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালু হলেও সে বছর উবার, পাঠাও এবং সহজের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান রাইড শেয়ারিং শুরু করে।তখনই সেটাকে একটা নীতিমালায় আনার কথা ওঠে। কারণ, উবার রাইড শেয়ারিং শুরু করার দুদনি পর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ সেটি নিষিদ্ধ করে। পরে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সংস্থাটি রাইড শেয়ারিংয়ের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের জুনে।শুরুতে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তাবায়নের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশ, নির্বাচন কমিশন (জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সংশ্লিষ্টতা ছিল।তিন মাসের মধ্যে নীতিমালার প্রথম খসড়া প্রকাশিত হয়। এতে সরকারের ১৭টি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মতামত নেয় বিআরটিএ। ডিসেম্বরের ১৪ তারিখে খসড়াটি যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। পরে সেটি ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়।কিন্তু এই শর্ত পূরণ সব আগ্রহীদের জন্যেই কঠিন হয়ে পড়লে তা সংশোধন হয় এবং সেই সংশোধনী অনুসারেই এখন লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে।
টেক শহর