এমএনপি’র সিম ট্যাক্স এখন ২০০ টাকা।
মোবাইল নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের সেবায় সিম ট্যাক্স জানুয়ারিতে তুলে নেওয়া হলেও চলতি বাজেট পাসের পর তা আবার ফিরে এসেছে।জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের সময় এবং অর্থ বিল পাসের সময় অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ না করায় শুল্ক বিষয়ক নিয়ম অনুযায়ী সিম বদলের ক্ষেত্রে আগের নির্ধারিত কর প্রযোজ্য হবে। বরং নতুন বাজেটে নতুন সিম কেনা এবং রিপ্লেসমেন্টের শুল্ক ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করায় এখন এমএনপিতে প্রতিটি সিম রিপ্লেসমেন্টে অতিরিক্ত দুইশ টাকা দিতে হবে।
বর্তমানে কেউ নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের সেবা এমএনপি নিতে চাইলে তাকে ৫০ টাকা চার্জ দিতে হয়। এর সঙ্গে ভ্যাট রয়েছে ১৫ শতাংশ। এখন আরও ২০০ টাকা সিম কর যােগ হওয়ায় সব মিলে খরচ পৌনে তিনশ টাকায় পৌঁছে গেছে।সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এমএনপিতে গ্রাহকের মধ্যে খুব একটা সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে মানুষের আগ্রহ আরও কমে যাবে।গত বছর অক্টোবরের শুরুতে দেশে এমএনপি সেবা চালু হয়। প্রথম দিকে নানা জটিলতা থাকার পরেও মাঝখানে এই সেবা কিছুটা জনপ্রিয়তাও পেয়েছিল। কিন্তু এখন আবার ধীরে ধীরে নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের প্রতি আগ্রহে ভাটা পড়েছে।এমএনপি সেবা নিয়ে নানান ভোগান্তিতেও পড়েছিলেন গ্রাহক। অপারেটর বদল করা গ্রাহকরা তাদের ব্যাংকের এসএমএস পাচ্ছিলেন না। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এসএমএসও পাচ্ছিলেন না তারা।তাছাড়া বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডার যেমন ফেইসবুক, গুগল, ভাইবার ইত্যাদির যেগুলোর ক্ষেত্রে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন দরকার, সেখানে সঠিকভাবে এসএমএস কোড না আসায় নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছিল না।জুন মাসের শুরুর দিকে এসব সমস্যার সমাধান হলেও নতুন করে বাড়তি ট্যাক্সে জটিলতা বাড়বে বলে মনে করছেন এমএনপি সেবা দেওয়া কোম্পানিটি।